হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ২টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড''' বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে সমধিক পরিচিত। হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাদের শাখা খোলে। এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) লাইসেন্স থাকায় ব্যাংকটি যোগ্য কাস্টমারকে বিদেশি | '''হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড''' (এইচএসবিসি) বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে সমধিক পরিচিত। হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাদের শাখা খোলে। এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) লাইসেন্স থাকায় ব্যাংকটি যোগ্য কাস্টমারকে বিদেশি মুদ্রয়ায়ও অর্থায়ন করতে পারে। এছাঢ়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদমজী, মংলা ও কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জও সিলেটে ব্যাংকটির সর্বমোট ৭টি শাখা, ২৭টি এটিএম বুথ এবং ৭টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালু রয়ছে । ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি ব্যাংকিং সার্ভিস ছাাও চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, ব্যক্তি ঋণ, মেয়াদি জমা, ট্রাভেলস চেক এবং অন্তর্গামী ও বহির্গামী রেমিট্যান্স সেবাও প্রদান করে থাকে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকটির প্রশাসনিক ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁকে সহায়তা করেন ৩৩৮ জন কর্মকর্তা এবং ৪৯৬ জন কর্মচারি। | ||
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়) | মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়) | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {|class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| বিবরণ || | | বিবরণ || ২০১৮ || ২০১৯ || ২০২০ | ||
|- | |- | ||
|অনুমোদিত মূলধন | |অনুমোদিত মূলধন || প্রযোজ্য নয় || প্রযোজ্য নয় || প্রযোজ্য নয় | ||
|- | |- | ||
|পরিশোধিত মূলধন | |পরিশোধিত মূলধন || ৪০০০ || ৩১৩৬ || ৩১৩৫ | ||
|- | |- | ||
|রিজার্ভ | |রিজার্ভ || (৫২) || ১৮৫ || (৩৩) | ||
|- | |- | ||
|আমানত | |আমানত || ২৫৫৯৪৮ || ২৬০৬৪০ || ১৪৯১৭২ | ||
|- | |- | ||
|ক) তলবি আমানত | |ক) তলবি আমানত || ৫০২৫৮ || ৫৯৭২৭ || ৭২১৭৮ | ||
|- | |- | ||
|খ) মেয়াদি আমানত | |খ) মেয়াদি আমানত || ২০৫৬৯১ || ২০০৯১২ || ৭৬৯৯৫ | ||
|- | |- | ||
|ঋণ ও অগ্রিম | |ঋণ ও অগ্রিম || ২২৩০৬৯ || ২৩২৯৩১ || ২৩৭১৭৬ | ||
|- | |- | ||
|বিনিয়োগ | |বিনিয়োগ || ২৮৪৯৮ || ৩৪৮১৩ || ৪৬১৮০ | ||
|- | |- | ||
|মোট পরিসম্পদ | |মোট পরিসম্পদ || ৩০৬৮০২ || ৩১০৭১০ || ৩২৮৮৮১ | ||
|- | |- | ||
|মোট আয় | |মোট আয় || ১৩২৫৫ || ১৫০৫৩ || ১৪৫২০ | ||
|- | |- | ||
|মোট ব্যয় | |মোট ব্যয় || ৫২৩৩ || ৫৫৮৫ || ৫৪৪১ | ||
|- | |- | ||
|বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা | |বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা || ৮৫১১৪১ || ৮৬৪৪২৭ || ৬৮৯২৩০ | ||
|- | |- | ||
|ক) রপ্তানি | |ক) রপ্তানি || ১১৫১৫১ || ৩২৬৪৭৯ || ২৭১৯১৪ | ||
|- | |- | ||
|খ) আমদানি | |খ) আমদানি || ৩৩৪৪৭২ || ৩৬২১১১ || ৩২৮৭০৮ | ||
|- | |- | ||
|গ) রেমিট্যান্স | |গ) রেমিট্যান্স || ৪০১৫১৯ || ১৭৫৮১৫ || ৮৮৬০৮ | ||
|- | |- | ||
|মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) | |মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) || ৮৪২ || ৮৭২ || ৮৩৪ | ||
|- | |- | ||
|ক) কর্মকর্তা | |ক) কর্মকর্তা || ৪৭২ || ৪৮৯ || ৩৩৮ | ||
|- | |- | ||
|খ) | |খ) কর্মচারি || ৩৮৮ || ৩৬১ || ৪৯৬ | ||
|- | |- | ||
| | |বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) || ০ || ০ || ০ | ||
|- | |- | ||
|শাখা (সংখ্যায়) | |শাখা (সংখ্যায়) || ৭ || ৭ || ৭ | ||
|- | |- | ||
|ক) দেশে | |ক) দেশে || ৭ || ৭ || ৭ | ||
|- | |- | ||
|খ) বিদেশে | |খ) বিদেশে || ০ || ০ || ০ | ||
|- | |- | ||
| | |কৃষি খাতে | ||
|- | |- | ||
|ক) ঋণ বিতরণ | |ক) ঋণ বিতরণ || ১৬৫০ || ২২৬২ || ১৫০২ | ||
|- | |- | ||
|খ) আদায় | |খ) আদায় || ১৫৪৪ || ২৪০১ || ১৯৯৩ | ||
|- | |- | ||
|শিল্প খাতে | |শিল্প খাতে | ||
|- | |- | ||
|ক) ঋণ বিতরণ | |ক) ঋণ বিতরণ || ৪০৮২৬৪ || ৪৪৬২৮২ || ৪২৩৮১৮ | ||
|- | |- | ||
|খ) আদায় | |খ) আদায় || ৩৬৫৮০৯ || ৪৩৫৩১৯ || ৪২০৭৪৯ | ||
|- | |- | ||
| | |খাত ভিত্তিক ঋণের স্থিতি | ||
|- | |- | ||
|ক) কৃষি ও মৎস্য | |ক) কৃষি ও মৎস্য || ১১৪১ || ১০৬৭ || ১৮৩৭ | ||
|- | |- | ||
|খ) শিল্প | |খ) শিল্প || ২৯৭৫৪ || ৩৬২৫৫ || ৪৩৬৮৫ | ||
|- | |- | ||
|গ) | |গ) ব্যবসা বাণিজ্য || ৪১০৪ || ৩৪৪২ || ৯০৪ | ||
|- | |- | ||
|ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন | |ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন || ০ || ০ || ০ | ||
|- | |||
|সি.এস.আর || ২৫ || ২৩ || ৩৩.২ | |||
|} | |} | ||
''উৎস'' | ''উৎস'' আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ''বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১''। | ||
এইচএসবিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট ও ব্যক্তিখাতের সাথে আর্থিক লেনদেন, সেবা ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত ব্যাংকটির ট্রেজারি ও পুঁজি বাজারের ব্যবসায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে বড় বড় কর্পোরেশন ও কোম্পানি, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এইচএসবিসির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অংশ নিয়ে থাকে। এইচএসবিসি অর্থায়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইকুইটি সিকিউরিটিজ, বেসরকারি ব্যাংকিং, ট্রাস্টি, প্রাইভেট ইকুইটি, ট্রেজারি ও পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে উপদেশক ও তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। ইসলামী আর্থিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এইচএসবিসি ১৯৯৮ সালে আমানাহ কর্মসূচি হাতে নেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এই কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় দপ্তর ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাইতে আঞ্চলিক কার্যক্রম রয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ কার্যালয়ে আমানাহ চলতি হিসাব ও আমদানি অর্থায়ন পর্যায়ে কর্মসূচি চালু আছে। | |||
এইচএসবিসি বাংলাদেশের | এইচএসবিসি বাংলাদেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানব সম্পদ উনয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, অক্ষম ও দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশ কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা করে থাকে। উদীয়মান তরুণ লেখক ও কবিদের জন্য পুরস্কারসহ তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা পুরস্কার প্রবর্তন, প্রথম আলো পত্রিকার সাথে দেশব্যাপী যৌথভাবে বাংলা ভাষা ভিত্তিক প্রতিযোগতা মূলক অনুষ্ঠান, অন্ধ বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা ও চক্ষুশিবির পরিচালনা এইচএসবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ] | ||
[[en:Hongkong and Shanghai Banking Corporation Limited]] |
০৭:৪৪, ২ জুলাই ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক হিসেবে সমধিক পরিচিত। হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম তাদের শাখা খোলে। এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) লাইসেন্স থাকায় ব্যাংকটি যোগ্য কাস্টমারকে বিদেশি মুদ্রয়ায়ও অর্থায়ন করতে পারে। এছাঢ়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদমজী, মংলা ও কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জও সিলেটে ব্যাংকটির সর্বমোট ৭টি শাখা, ২৭টি এটিএম বুথ এবং ৭টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার চালু রয়ছে । ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি ব্যাংকিং সার্ভিস ছাাও চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, ব্যক্তি ঋণ, মেয়াদি জমা, ট্রাভেলস চেক এবং অন্তর্গামী ও বহির্গামী রেমিট্যান্স সেবাও প্রদান করে থাকে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যাংকটির প্রশাসনিক ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁকে সহায়তা করেন ৩৩৮ জন কর্মকর্তা এবং ৪৯৬ জন কর্মচারি।
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
বিবরণ | ২০১৮ | ২০১৯ | ২০২০ |
অনুমোদিত মূলধন | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় |
পরিশোধিত মূলধন | ৪০০০ | ৩১৩৬ | ৩১৩৫ |
রিজার্ভ | (৫২) | ১৮৫ | (৩৩) |
আমানত | ২৫৫৯৪৮ | ২৬০৬৪০ | ১৪৯১৭২ |
ক) তলবি আমানত | ৫০২৫৮ | ৫৯৭২৭ | ৭২১৭৮ |
খ) মেয়াদি আমানত | ২০৫৬৯১ | ২০০৯১২ | ৭৬৯৯৫ |
ঋণ ও অগ্রিম | ২২৩০৬৯ | ২৩২৯৩১ | ২৩৭১৭৬ |
বিনিয়োগ | ২৮৪৯৮ | ৩৪৮১৩ | ৪৬১৮০ |
মোট পরিসম্পদ | ৩০৬৮০২ | ৩১০৭১০ | ৩২৮৮৮১ |
মোট আয় | ১৩২৫৫ | ১৫০৫৩ | ১৪৫২০ |
মোট ব্যয় | ৫২৩৩ | ৫৫৮৫ | ৫৪৪১ |
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা | ৮৫১১৪১ | ৮৬৪৪২৭ | ৬৮৯২৩০ |
ক) রপ্তানি | ১১৫১৫১ | ৩২৬৪৭৯ | ২৭১৯১৪ |
খ) আমদানি | ৩৩৪৪৭২ | ৩৬২১১১ | ৩২৮৭০৮ |
গ) রেমিট্যান্স | ৪০১৫১৯ | ১৭৫৮১৫ | ৮৮৬০৮ |
মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) | ৮৪২ | ৮৭২ | ৮৩৪ |
ক) কর্মকর্তা | ৪৭২ | ৪৮৯ | ৩৩৮ |
খ) কর্মচারি | ৩৮৮ | ৩৬১ | ৪৯৬ |
বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) | ০ | ০ | ০ |
শাখা (সংখ্যায়) | ৭ | ৭ | ৭ |
ক) দেশে | ৭ | ৭ | ৭ |
খ) বিদেশে | ০ | ০ | ০ |
কৃষি খাতে | |||
ক) ঋণ বিতরণ | ১৬৫০ | ২২৬২ | ১৫০২ |
খ) আদায় | ১৫৪৪ | ২৪০১ | ১৯৯৩ |
শিল্প খাতে | |||
ক) ঋণ বিতরণ | ৪০৮২৬৪ | ৪৪৬২৮২ | ৪২৩৮১৮ |
খ) আদায় | ৩৬৫৮০৯ | ৪৩৫৩১৯ | ৪২০৭৪৯ |
খাত ভিত্তিক ঋণের স্থিতি | |||
ক) কৃষি ও মৎস্য | ১১৪১ | ১০৬৭ | ১৮৩৭ |
খ) শিল্প | ২৯৭৫৪ | ৩৬২৫৫ | ৪৩৬৮৫ |
গ) ব্যবসা বাণিজ্য | ৪১০৪ | ৩৪৪২ | ৯০৪ |
ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন | ০ | ০ | ০ |
সি.এস.আর | ২৫ | ২৩ | ৩৩.২ |
উৎস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট ও ব্যক্তিখাতের সাথে আর্থিক লেনদেন, সেবা ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত ব্যাংকটির ট্রেজারি ও পুঁজি বাজারের ব্যবসায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে বড় বড় কর্পোরেশন ও কোম্পানি, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এইচএসবিসির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অংশ নিয়ে থাকে। এইচএসবিসি অর্থায়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইকুইটি সিকিউরিটিজ, বেসরকারি ব্যাংকিং, ট্রাস্টি, প্রাইভেট ইকুইটি, ট্রেজারি ও পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে উপদেশক ও তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। ইসলামী আর্থিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এইচএসবিসি ১৯৯৮ সালে আমানাহ কর্মসূচি হাতে নেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এই কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় দপ্তর ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাইতে আঞ্চলিক কার্যক্রম রয়েছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ কার্যালয়ে আমানাহ চলতি হিসাব ও আমদানি অর্থায়ন পর্যায়ে কর্মসূচি চালু আছে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানব সম্পদ উনয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে থাকে। সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, অক্ষম ও দুর্দশাগ্রস্থদের সহায়তা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশ কার্যক্রমে সরাসরি সহায়তা করে থাকে। উদীয়মান তরুণ লেখক ও কবিদের জন্য পুরস্কারসহ তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা পুরস্কার প্রবর্তন, প্রথম আলো পত্রিকার সাথে দেশব্যাপী যৌথভাবে বাংলা ভাষা ভিত্তিক প্রতিযোগতা মূলক অনুষ্ঠান, অন্ধ বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা ও চক্ষুশিবির পরিচালনা এইচএসবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]