শক্তি ঔষধালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
বর্তমানে শক্তি ঔষধালয়ের প্রধান কার্যালয় ও কারখানা স্বামীবাগ রোড়, ঢাকায় অবস্থিত। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে এর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিচালক এর নির্বাহী প্রধান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ২৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। সারাদেশে শক্তি ঔষধালয়ের ৩৭টি শাখা আছে এবং প্রায় ৩,৫০০ জন এজেন্ট রয়েছে। [মোঃ মুকবিল হোসেন] | বর্তমানে শক্তি ঔষধালয়ের প্রধান কার্যালয় ও কারখানা স্বামীবাগ রোড়, ঢাকায় অবস্থিত। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে এর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিচালক এর নির্বাহী প্রধান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ২৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। সারাদেশে শক্তি ঔষধালয়ের ৩৭টি শাখা আছে এবং প্রায় ৩,৫০০ জন এজেন্ট রয়েছে। [মোঃ মুকবিল হোসেন] | ||
''আরও দেখুন'' আয়ুর্বেদিক | ''আরও দেখুন'' [[আয়ুর্বেদিক ঔষধ|আয়ুর্বেদিক ঔষধ]]; [[হামদর্দ|হামদর্দ]]। | ||
[[en:Sakti Oushadhalaya]] | [[en:Sakti Oushadhalaya]] |
০৮:৩০, ১২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
শক্তি ঔষধালয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, শিক্ষা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। প্রায় তিন হাজার বছরের অধিক সময় ধরে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি এ উপমহাদেশে প্রচলিত। ১৩০৮ বঙ্গাব্দে (১৯০১ সাল) মথুরামোহন চক্রবর্তী উপমহাদেশে সর্বপ্রথম আর্য়ুবেদ প্রতিষ্ঠান ‘শক্তি ঔষধালয়’ স্থাপন করেন ঢাকার পাটুয়াটুলীতে। এ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১০০ বছর যাবৎ মানবতার সেবায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র চ্যবনপ্রাশ ও স্বর্ণসিন্দুর এ দুটি ঔষধ দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। উপমহাদেশে ভেষজ শিল্প উন্নয়নে শক্তি ঔষধালয়ের ভূমিকা লক্ষণীয়। শক্তি ঔষধালয় গুণগত মানসম্পন্ন ঔষধ উৎপাদন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণা ও আধুনিক জগতের চাহিদার সাথে সমন্বয় সাধনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। রোগী নিজেই প্রচারে সহায়ক হবেন যদি তিনি ঔষধের গুণে রোগমুক্ত হন এবং এটাই শক্তি ঔষধালয়ের বৈশিষ্ট্য।
১৯৭১ সালে শক্তি ঔষধালয় সরকারি সম্পত্তি হিসেবে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু অলাভজনক হওয়ায় ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠানটিকে বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তর করা হয়। শক্তি ঔষধালয় সরকারকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উন্নয়নে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যেমন আয়ুর্বেদ পেশায় নিয়োজিত কর্মচারীদের স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান; এজেন্টদের ঔষধ বিক্রয়ের সুযোগ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স গ্রহণ করার সুযোগ দান; বিভিন্ন ঔষধ (আয়ুর্বেদ, অ্যালোপ্যাথিক, ইউনানি) একই দোকানে রেখে বিক্রয়ের সুযোগ; আয়ুর্বেদ ঔষধ রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ; আয়ুর্বেদ ডিগ্রি কলেজ স্থাপন; আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি ইত্যাদি। এছাড়া শক্তি ঔষধালয় ঔষধনীতি প্রণয়ন, ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্র যুগপোযোগী করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
আয়ুর্বেদের সব তথ্য ও বিধি-বিধান সংস্কৃত ভাষায় লিপিবদ্ধ। তাই শক্তি ঔষধালয় আয়ুর্বেদ ঔষধ সম্পর্কে সহজ বাংলায় রোগ নির্ণয়, ঔষধ প্রয়োগ ও নিরাময় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘শক্তির গৃহ চিকিৎসা’ নামে একটি পুস্তক প্রকাশ করেছে। আয়ুর্বেদ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সমন্বয়ে গঠিত ‘আয়ুর্বেদ পরিষদ’ নামের প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় শক্তি ঔষধালয়ে অবস্থিত। আয়ুর্বেদ পেশায় নিয়োজিত কর্মচারী এবং এজেন্টদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আয়ুর্বেদ ও ইউনানি বোর্ড (সরকার পরিচালিত) থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে নিবন্ধন করানোর দায়িত্বও এই প্রতিষ্ঠানের।
বর্তমানে শক্তি ঔষধালয়ের প্রধান কার্যালয় ও কারখানা স্বামীবাগ রোড়, ঢাকায় অবস্থিত। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে এর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিচালক এর নির্বাহী প্রধান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ২৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। সারাদেশে শক্তি ঔষধালয়ের ৩৭টি শাখা আছে এবং প্রায় ৩,৫০০ জন এজেন্ট রয়েছে। [মোঃ মুকবিল হোসেন]
আরও দেখুন আয়ুর্বেদিক ঔষধ; হামদর্দ।