রুহিয়া ঢাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''রুহিয়া ঢাল''' (Ruhea Slope) ভারতীয় প্রিক্যামব্রিয় প­্যাটফর্মের একটি উপবিভাগ। দিনাজপুর ঢাল হিসেবেও পরিচিত। রুহিয়া বা দিনাজপুর ঢালে ভিত্তিশিলার গভীরতা ০.৭৫ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি। এই অঞ্চলের পাললিক শিলার কম পুরুত্ব দেখে এটিকে অনেকে দিনাজপুর প­্যাটফর্মও বলে থাকেন। এখানে ভিত্তিশিলা উত্তরপশ্চিম দিকে অচমকা উপ-হিমালয়ী পুরঃখাতের ভিতরে ঢুকে গেছে।''' '''বাংলাদেশ''' '''সীমান্তের ভিতরে রুহিয়া ঢাল বা দিনাজপুর ঢাল ৬৬ কিমি চওড়া এবং এটি রংপুর-দিনাজপুর জেলার একটি সামান্য অংশ (রংপুর স্যাডলের উত্তরাঞ্চলীয় নতি) দখল করে আছে। এই অংশটি রংপুর স্যাডল থেকে অনেকগুলি চ্যুতিক্রম দ্বারা বিচ্ছিন্ন। রুহিয়া ঢালে প্রিক্যামব্রীয় ভিত্তিশিলা রংপুর স্যাডলের তুলনায় বেশি গভীরে পাওয়া যায়। তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভিত্তিশিলার গভীরতা প্রায় ২০০০ মিটার। দক্ষিণের বগুড়া ঢালের তুলনায় উত্তরের উপ-হিমালয়ী পুরঃখাত সংকীর্ণ হওয়ার কারণে রুহিয়া ঢালও সংকীর্ণ। রুহিয়া ঢাল ও উপ-হিমালয়ী পুরঃখাতের সন্ধিস্থলের প্রকৃতি জানা যায় নি। রংপুর স্যাডল ও বগুড়া ঢালের তুলনায় রুহিয়া ঢালে চ্যুতি কম। পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও বেশি জানা যায়নি এবং সম্ভবত রুহিয়া ঢালের শিলাসমূহ অংশত সামুদ্রিক ও অংশত বদ্বীপীয় পরিবেশের। এই অঞ্চলে কোন ঊধর্বভাঁজ নেই।
'''রুহিয়া ঢাল''' (Ruhea Slope) ভারতীয় প্রিক্যামব্রিয় প­্যাটফর্মের একটি উপবিভাগ। দিনাজপুর ঢাল হিসেবেও পরিচিত। রুহিয়া বা দিনাজপুর ঢালে ভিত্তিশিলার গভীরতা ০.৭৫ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি। এই অঞ্চলের পাললিক শিলার কম পুরুত্ব দেখে এটিকে অনেকে দিনাজপুর প­্যাটফর্মও বলে থাকেন। এখানে ভিত্তিশিলা উত্তরপশ্চিম দিকে অচমকা উপ-হিমালয়ী পুরঃখাতের ভিতরে ঢুকে গেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে রুহিয়া ঢাল বা দিনাজপুর ঢাল ৬৬ কিমি চওড়া এবং এটি রংপুর-দিনাজপুর জেলার একটি সামান্য অংশ (রংপুর স্যাডলের উত্তরাঞ্চলীয় নতি) দখল করে আছে। এই অংশটি রংপুর স্যাডল থেকে অনেকগুলি চ্যুতিক্রম দ্বারা বিচ্ছিন্ন। রুহিয়া ঢালে প্রিক্যামব্রীয় ভিত্তিশিলা রংপুর স্যাডলের তুলনায় বেশি গভীরে পাওয়া যায়। তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভিত্তিশিলার গভীরতা প্রায় ২০০০ মিটার। দক্ষিণের বগুড়া ঢালের তুলনায় উত্তরের উপ-হিমালয়ী পুরঃখাত সংকীর্ণ হওয়ার কারণে রুহিয়া ঢালও সংকীর্ণ। রুহিয়া ঢাল ও উপ-হিমালয়ী পুরঃখাতের সন্ধিস্থলের প্রকৃতি জানা যায় নি। রংপুর স্যাডল ও বগুড়া ঢালের তুলনায় রুহিয়া ঢালে চ্যুতি কম। পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও বেশি জানা যায়নি এবং সম্ভবত রুহিয়া ঢালের শিলাসমূহ অংশত সামুদ্রিক ও অংশত বদ্বীপীয় পরিবেশের। এই অঞ্চলে কোন ঊধর্বভাঁজ নেই। [ইউনুস আকন]
 
[ইউনুস আকন]


[[en:Ruhea Slope]]
[[en:Ruhea Slope]]

০৪:২২, ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রুহিয়া ঢাল (Ruhea Slope) ভারতীয় প্রিক্যামব্রিয় প­্যাটফর্মের একটি উপবিভাগ। দিনাজপুর ঢাল হিসেবেও পরিচিত। রুহিয়া বা দিনাজপুর ঢালে ভিত্তিশিলার গভীরতা ০.৭৫ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি। এই অঞ্চলের পাললিক শিলার কম পুরুত্ব দেখে এটিকে অনেকে দিনাজপুর প­্যাটফর্মও বলে থাকেন। এখানে ভিত্তিশিলা উত্তরপশ্চিম দিকে অচমকা উপ-হিমালয়ী পুরঃখাতের ভিতরে ঢুকে গেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে রুহিয়া ঢাল বা দিনাজপুর ঢাল ৬৬ কিমি চওড়া এবং এটি রংপুর-দিনাজপুর জেলার একটি সামান্য অংশ (রংপুর স্যাডলের উত্তরাঞ্চলীয় নতি) দখল করে আছে। এই অংশটি রংপুর স্যাডল থেকে অনেকগুলি চ্যুতিক্রম দ্বারা বিচ্ছিন্ন। রুহিয়া ঢালে প্রিক্যামব্রীয় ভিত্তিশিলা রংপুর স্যাডলের তুলনায় বেশি গভীরে পাওয়া যায়। তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভিত্তিশিলার গভীরতা প্রায় ২০০০ মিটার। দক্ষিণের বগুড়া ঢালের তুলনায় উত্তরের উপ-হিমালয়ী পুরঃখাত সংকীর্ণ হওয়ার কারণে রুহিয়া ঢালও সংকীর্ণ। রুহিয়া ঢাল ও উপ-হিমালয়ী পুরঃখাতের সন্ধিস্থলের প্রকৃতি জানা যায় নি। রংপুর স্যাডল ও বগুড়া ঢালের তুলনায় রুহিয়া ঢালে চ্যুতি কম। পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও বেশি জানা যায়নি এবং সম্ভবত রুহিয়া ঢালের শিলাসমূহ অংশত সামুদ্রিক ও অংশত বদ্বীপীয় পরিবেশের। এই অঞ্চলে কোন ঊধর্বভাঁজ নেই। [ইউনুস আকন]