রায়, ইন্দ্রলাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:RoyIndraLal.jpg|right|thumbnail|ইন্দ্রলাল রায়]]
'''রায়, ইন্দ্রলাল''' (১৮৯৮-১৯১৮)  প্রথম বাঙালি বিমানচালক। ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পি.এল রায় ছিলেন  [[বরিশাল বিভাগ|বরিশাল]] জেলার লাকুতিয়ার জমিদার। ইন্দ্রলাল শিক্ষাজীবনে একাধিক বৃত্তি অর্জনের মাধ্যমে উজ্জ্বল মেধার পরিচয় দেন। চূড়ান্তপর্যায়ে তিনি ব্যালিওল বৃত্তি লাভ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। পরিবারের প্রত্যাশা ছিল যে, তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করবেন, কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি রয়েল ফ্লাইং কোর-এ যোগ দেন। ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কমিশন লাভ করেন এবং ৫৬ নং বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।
'''রায়, ইন্দ্রলাল''' (১৮৯৮-১৯১৮)  প্রথম বাঙালি বিমানচালক। ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পি.এল রায় ছিলেন  [[বরিশাল বিভাগ|বরিশাল]] জেলার লাকুতিয়ার জমিদার। ইন্দ্রলাল শিক্ষাজীবনে একাধিক বৃত্তি অর্জনের মাধ্যমে উজ্জ্বল মেধার পরিচয় দেন। চূড়ান্তপর্যায়ে তিনি ব্যালিওল বৃত্তি লাভ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। পরিবারের প্রত্যাশা ছিল যে, তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করবেন, কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি রয়েল ফ্লাইং কোর-এ যোগ দেন। ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কমিশন লাভ করেন এবং ৫৬ নং বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।



০৬:৪২, ৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ইন্দ্রলাল রায়

রায়, ইন্দ্রলাল (১৮৯৮-১৯১৮)  প্রথম বাঙালি বিমানচালক। ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পি.এল রায় ছিলেন  বরিশাল জেলার লাকুতিয়ার জমিদার। ইন্দ্রলাল শিক্ষাজীবনে একাধিক বৃত্তি অর্জনের মাধ্যমে উজ্জ্বল মেধার পরিচয় দেন। চূড়ান্তপর্যায়ে তিনি ব্যালিওল বৃত্তি লাভ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। পরিবারের প্রত্যাশা ছিল যে, তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করবেন, কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি রয়েল ফ্লাইং কোর-এ যোগ দেন। ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কমিশন লাভ করেন এবং ৫৬ নং বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ফ্রান্সের পক্ষে জার্মানির বিরুদ্ধে এক সামরিক অভিযানকালে ইন্দ্রলালের বিমান জার্মান কর্তৃক ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ ভূপাতিত হয়। তিনদিন অজ্ঞান থাকার পর ব্রিটিশ সেনাদল তাঁকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠানো হয়, কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি আবার জ্ঞান ফিরে পান। সুস্থ হয়ে ইন্দ্রলাল শীঘ্রই আবার উড্ডয়ন করেন। ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই শত্রুর গোলায় তাঁর বিমান ভূপাতিত হলে তাঁর মৃত্যু হয়। তার আগে ৬ জুলাই থেকে শুরু করে তিনি নয়টি জার্মান যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। বিমানযুদ্ধে অসাধারণ সাফল্যের পুরস্কারস্বরূপ তিনি মরণোত্তর ডিএফসি (ডিস্টিনগুইসড ফ্লাইং ক্রস) সম্মানে ভূষিত হন।  [এ মুজাফ্ফর]