পলাশ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
০৬:২৫, ৬ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পলাশ উপজেলা (নরসিংদী জেলা) আয়তন: ৯৪.৪৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫৩´ থেকে ২৪°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৪´ থেকে ৯০°৪৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে শিবপুর ও কালীগঞ্জ (গাজীপুর) উপজেলা, দক্ষিণে রূপগঞ্জ ও নরসিংদী সদর উপজেলা, পূর্বে শিবপুর ও নরসিংদী সদর উপজেলা, পশ্চিমে কালীগঞ্জ (গাজীপুর) ও কাপাসিয়া উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৮৯১২০; পুরুষ ৯৮৭৫২, মহিলা ৯০৩৬৮। মুসলিম ১৬৬৬৮০, হিন্দু ২২২৩৫, বৌদ্ধ ২৪ এবং অন্যান্য ১৮১।
জলাশয় প্রধান নদী: শীতলক্ষ্যা।
প্রশাসন পলাশ থানা গঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। বর্তমানে এটি উপজেলা।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ (ঘোড়াশাল) | ৪ | ৫৫ | ৭৮ | ১০০৪৪৩ | ৮৮৬৭৭ | ২০০৩ | ৬৩.৭ | ৫৫.০ |
পৌরসভা | |||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার(%) |
১৯.২১ | ৯ | ২০ | ৫৮৩১৯ | ৩০৩৬ | ৬১.৯৮ |
উপজেলা শহর | ||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
১৯.৮২ | ১১ | ৪২১২৪ | ২১২৫ | ৬৬.১৫ |
ইউনিয়ন | ||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
গজারিয়া ৪৭ | ৩২৪০ | ১২১২০ | ১১৫৫৮ | ৫৬.৩৭ |
চরসিন্দুর ১৫ | ৫০৩৮ | ২০৪০২ | ১৯১০০ | ৬৯.৩৬ |
জিনারদী ৭৯ | ৫২৩০ | ১৪১৬৮ | ১৩৮৬৭ | ৫৭.৩৫ |
ডাঙ্গা ৩১ | ৩৯৮১ | ২০২৪৬ | ১৯৩৪০ | ৪৯.৯৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ পারুলিয়া মসজিদ (১৭১৬), ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ী মসজিদ, দেওয়ান শরীফের মাযার, ডাঙ্গা ভোলাবো প্রাচীন কালীবাড়ি ও যজ্ঞেশ্বর সাধুর আশ্রম (১০৯২), ডাঙ্গার কথুনাথের মন্দির, বরাব কানাই লালের মন্দির।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪০৭, মন্দির ২৭, মাযার ২।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৯.৭%; পুরুষ ৬৩.২%, মহিলা ৫৫.৯%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চরসিন্দুর হাইস্কুল (১৯১৯), পারুলিয়া হাইস্কুল (১৯৩৩), ঘোড়াশাল হাইস্কুল (১৯৪৫), ডাঙ্গা হাইস্কুল, গয়েশপুর পি.এল হাইস্কুল, পলাশ থানা উচ্চ বিদ্যালয়।
![](/images/thumb/c/cf/PalashUpazila.jpg/400px-PalashUpazila.jpg)
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৫৯, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৩১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ২৮.২৮%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৬%, শিল্প ৫.১৪%, ব্যবসা ১৬.৮৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.১৪%, নির্মাণ ৫.৮০%, চাকরি ২৬.২৬% এবং অন্যান্য ১২.৬৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৩.৩৬%, ভূমিহীন ৪৬.৬৪%। শহরে ৪৭.১২% এবং গ্রামে ৬০.৬৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আখ, পিঁয়াজ, রসুন, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, তিসি, কাউন, মিষ্টি আলু, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, কলা, পেঁপে।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১৫, গবাদিপশু ৫৫, হাঁস-মুরগি ৮৭, নার্সারি ৭, গবাদিপশু প্রজনন কেন্দ্র ২।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২০২.১৮ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৮.২৫৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ১১০.৮৩ কিমি; নৌপথ ২৫ নটিক্যাল মাইল; রেলপথ ১৫ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চিনিকল, পাটকল, কাগজকল, সার কারখানা, সিমেন্ট কারখানা, তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৬, মেলা ৭। ঘোড়াশাল বাজার, ডাঙ্গা হাট, চরসিন্দুর হাট এবং জিনারদী মেলা, ঘোড়াশাল মেলা ও চরসিন্দুর মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য চিনি, চট, কাগজ, কলা, আনারস, পিঁয়াজ, রসুন, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭১.২১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৩.৭২%, পুকুর ০.২৩%, ট্যাপ ১০.৩৭% এবং অন্যান্য ৫.৬৮%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৫৪.০% (গ্রামে ৩৭.৪৬% এবং শহরে ৬৮.১৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৯.৬৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৬.৩৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা হাসপাতাল ৭, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৪, মাতৃসদন ১, দাতব্য চিকিৎসালয় ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৮।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, পপি।
[মো. ইফতেখার উদ্দিন ভূঞা]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পলাশ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।