গাংনী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
০৬:২১, ৬ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
গাংনী উপজেলা (মেহেরপুর জেলা) আয়তন: ৩৪১.৯৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৪´ থেকে ২৩°৫২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৩৪´ থেকে ৮৮°৪৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে দৌলতপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া), দক্ষিণে আলমডাঙ্গা ও মেহেরপুর সদর উপজেলা, পূর্বে দৌলতপুর, আলমডাঙ্গা ও মিরপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া), পশ্চিমে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।
জনসংখ্যা ২৬৯০৮৫; পুরুষ ১৩৭৯২১, মহিলা ১৩১১৬৪। মুসলিম ২৬৪৯৭৬, হিন্দু ২২৩৯, বৌদ্ধ ১৬৭৭ এবং অন্যান্য ১৯৩।
জলাশয় প্রধান নদী: ভৈরব, ইছামতি ও কাজলা। ইলাঙ্গী বিল, নুনের বিল ও ইলালগাড়ি দামাশ বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন গাংনী থানা গঠিত হয় ১৯২৩ সালে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৯ | ১০০ | ১৪৩ | ২৩৮৪৬ | ২৪৫২৩৯ | ৭৮৭ | ৫০.০০ | ৩৫.১ |
পৌরসভা | |||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
১২.১৭ | ৯ | - | ২০৭৮০ | ১৭০৭.৪৭ | - |
উপজেলা শহর | ||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
২২.৮৬ | ৫ | ২৩৮৪৬ | ১০৪৩ | ৫০.০০ |
ইউনিয়ন | ||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
কাজীপুর ৫২ | ৮৭৭১ | ১৯৮৫৩ | ১৮৮৩৯ | ৩৩.৫৪ |
কাথুলি ৪২ | ৮২১১ | ১০৯০৩ | ১০৫৪৪ | ৩১.০৬ |
গাংনী ৩১ | ৭৭৪৩ | ১২৫৩০ | ১১৮৮৬ | ৪১.৮৫ |
তেঁতুলবাড়িয়া ৯৪ | ৮৩৯০ | ১৫২০২ | ১৪৩৯৯ | ৩৪.৫০ |
ধানখোলা২১ | ১৫৯৩১ | ২২৭৪৭ | ২১৮৪৭ | ৩৫.৭৫ |
বামান্ডী১০ | ৭২১৬ | ১১৬৪৩ | ১০৭৭১ | ৩৭.২২ |
মাটিমুরা ৬৩ | ১১৭০৯ | ১৯৫৭০ | ১৮৭৩১ | ৩৪.৯৭ |
ষোলটাকা ৮৪ | ৭০৪৬ | ১১০২৬ | ১০৪৯৩ | ৩৮.৬৭ |
সাহারবাটি ৭৩ | ৮৭৯১ | ১৪৪৪৭ | ১৩৬৫৪ | ৪২.৬৫ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ সাহারবাটি নীলকুঠি (১৮৫৯), করমদির গোসাইডুবি মসজিদ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ (কাজীপুর ও টেপুখালির মাঠ)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৪৫, মন্দির ৬, গির্জা ৬।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৬.৫%; পুরুষ ৩৮.৭%, মহিলা ৩৪.১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গাংনী ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৩), গাংনী মহিলা কলেজ (১৯৯৫), হোগলাবাড়িয়া মোহাম্মাদপুর হাজী ভরসউদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫)।
![](/images/thumb/5/5a/GangniUpazila.jpg/300px-GangniUpazila.jpg)
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৪, ক্লাব ১০, সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩, নাট্য দল ২, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ২০।
দর্শনীয় স্থান ভাটপাড়া নীলকুঠি ও চিৎলা পাটবীজ খামার।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭০%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৩%, শিল্প ০.৯৬%, ব্যবসা ১৩.৩৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৯০%, চাকরি ৩.১৩%, নির্মাণ ১.০৩%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫৯% এবং অন্যান্য ৬.০৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৭.৮২%, ভূমিহীন ৪২.১৮%। শহরে ৫৯.০২% এবং গ্রামে ৫৭.৭১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, তামাক, ভুট্টা, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি নীল, অড়হর, খেসারি।
প্রধান ফল-ফলাদিব আম, লিচু, কাঁঠাল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার এবং হ্যাচারি রয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২২৩.৫৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৪৬৭.২৫ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ফ্লাওয়ার মিল, আইস ফ্যাক্টরি প্রভৃতি।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, পাটশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, নকশি কাঁথা প্রভৃতি।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৫, মেলা ১। গাড়াবাড়িয়ার হাট, তেঁতুলবাড়িয়ার হাট, করমদি হাট, কাজীপুর হাট, বেতবাড়িয়া হাট, নওদাপাড়া হাট এবং বৈশাখী মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য তামাক, ধান, পাট, গম।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৬.২৭% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯২.৭২%, পুকুর ০.১৬%, ট্যাপ ১% এবং অন্যান্য ৬.১২%। উপজেলার ৩১৯৬৫ টি অগভীর নলকূপের মধ্যে ১২.০৭% নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১৭.১৯% (গ্রামে ১৫.৯৮% ও শহরে ৩০.১০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৫.৪৯% (গ্রামে ৪৪.৭৬% ও শহরে ৫৩.৩০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৭.৩২% পরিবারের কোনো স্যানিটেশন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ৫, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১।
এনজিও প্রশিকা, আশা, ব্র্যাক, সন্ধানী, নিজেরা করি।
[রাজীব আহম্মেদ]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গাংনী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।