বাগমারা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৮৯ নং লাইন: | ৮৯ নং লাইন: | ||
''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালের ২৪ মে পাকসেনারা তাহিরপুর হাটে অতর্কিতে আক্রমণ করে ২৫ জন লোককে গুলি করে হত্যা করে। ৪ আগস্ট হাবিলদার শফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাহিরপুরের নিকট পাকসেনাদের টহলনৌকায় আক্রমণ চালালে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। | ''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালের ২৪ মে পাকসেনারা তাহিরপুর হাটে অতর্কিতে আক্রমণ করে ২৫ জন লোককে গুলি করে হত্যা করে। ৪ আগস্ট হাবিলদার শফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাহিরপুরের নিকট পাকসেনাদের টহলনৌকায় আক্রমণ চালালে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। | ||
''বিস্তারিত দেখুন'' বাগমারা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৬। | ''বিস্তারিত দেখুন'' বাগমারা উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৬। | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৩৯, মন্দির ৬৫, মাযার ৬। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: তাহিরপুর বড় মসজিদ। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৩৯, মন্দির ৬৫, মাযার ৬। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: তাহিরপুর বড় মসজিদ। |
১৬:২৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাগমারা উপজেলা (রাজশাহী জেলা) আয়তন: ৩৬৬.২৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৩০´ থেকে ২৪°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪১´ থেকে ৮৮°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মান্দা ও আত্রাই উপজেলা, দক্ষিণে দুর্গাপুর, পুঠিয়া এবং নাটোর সদর উপজেলা, পূর্বে আত্রাই এবং নাটোর সদর উপজেলা, পশ্চিমে মোহনপুর উপজেলা।
জনসংখ্যা ৩৫৪৬৬৪; পুরুষ ১৭৭১৫৭, মহিলা ১৭৭৫০৭। মুসলিম ৩৩৮০১৩, হিন্দু ১৬৪৯৪, খ্রিস্টান ৬ এবং অন্যান্য ১৫১।
জলাশয় প্রধান নদী: বারনাই।
প্রশাসন বাগমারা থানা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
২ | ১৬ | ২৭৩ | ৩৩২ | ৩৮২১৪ | ৩১৬৪৫০ | ৯৬৮ | ৪৪.৩০ (২০০১) | ৪৫.৫ |
ভবানীগঞ্জ পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
১৩.৩৪ (২০০১) | ৯ | ২৩ | ১৭৯৫৫ | ১১৭৮ (২০০১) | ৫১.৫ |
তাহিরপুর পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
১০.৮৪ (২০০১) | ৯ | ১৭ | ১৭৯৪৪ | ১৫৫২ (২০০১) | ৫৪.৮ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
২.৪০(২০০১) | ১ | ২৩১৫ | ৮৭২ (২০০১) | ৪৮.৫ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আউচপাড়া ২০ | ৬৭৬০ | ১৩৪২০ | ১৩২৬৫ | ৪৬.৮ | ||||
কাচারী কোয়ালিপাড়া ৭২ | ১৪২৫ | ৩৭৭৭ | ৩৭৩২ | ৪৬.১ | ||||
গনিপুর ৫০ | ৮৯৫৩ | ১৮৪৩৯ | ১৮০৩০ | ৪৬.৯ | ||||
গোবিন্দপাড়া ৪৪ | ৬৬৭৩ | ১১৩৯৯ | ১১৩০৮ | ৪৫.৪ | ||||
গোয়ালকান্দি ৩৭ | ৫৯৪৬ | ১২০৮২ | ১২১৯৩ | ৪৩.৭ | ||||
ঝিকড়া ৬৩ | ৬১৬৩ | ১০৯৩৫ | ১১০৯১ | ৪১.১ | ||||
দ্বীপপুর ৩১ | ৩৩৯৬ | ৪৮৩৯ | ৫০১৩ | ৩৭.০ | ||||
নরদাশ ৮২ | ৫৮৯৩ | ৯৬৮২ | ৯৮৪৬ | ৪৫.০ | ||||
বড় বিহানালী ২২ | ৩৮১২ | ৬১৮৭ | ৬৩৮৪ | ৩৯.৯ | ||||
বাসুপাড়া ২৪ | ৭১১১ | ১৩৪৮৭ | ১৩৪৫৬ | ৪৮.৭ | ||||
মাড়িয়া ৭৫ | ৪৫৫০ | ৯৬৯১ | ৯৭৯৬ | ৪৫.৬ | ||||
যোগীপাড়া ৬৯ | ৭০২২ | ১২২৯৫ | ১২৫৩৫ | ৪৫.০ | ||||
শুভডাঙ্গা ৯৪ | ৬০৩৪ | ১২৭৩৩ | ১২৮৬০ | ৫২.১ | ||||
শ্রীপুর ৮৮ | ২৭৮৯ | ৫৯৩১ | ৫৮৫৮ | ৪৩.৪ | ||||
সোনাডাঙ্গা ৮৫ | ২৫৯৩ | ৪২৯০ | ৪৩৯৪ | ৪৫.১ | ||||
হামিরকুৎসা ৫৬ | ৫৪১২ | ৯৮২৩ | ৯৯৯৪ | ৪৫.২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ বারনাই নদীর তীরে অচিন ঘাট গ্রামে পাঁচপীরের মাযার ও শাহী মসজিদ।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৪ মে পাকসেনারা তাহিরপুর হাটে অতর্কিতে আক্রমণ করে ২৫ জন লোককে গুলি করে হত্যা করে। ৪ আগস্ট হাবিলদার শফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাহিরপুরের নিকট পাকসেনাদের টহলনৌকায় আক্রমণ চালালে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়।
বিস্তারিত দেখুন বাগমারা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৬।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১২৩৯, মন্দির ৬৫, মাযার ৬। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: তাহিরপুর বড় মসজিদ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৬.৩%; পুরুষ ৫২.২%, মহিলা ৪০.৫%। কলেজ ১৬, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১০, মাদ্রাসা ৮০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তাহিরপুর ডিগ্রি কলেজ, পানিয়া নরদাশ কলেজ, ভবানীগঞ্জ কলেজ, মচমইল কলেজ, মোহনগঞ্জ কলেজ, বীরকুৎসা অবিনাশ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), হাট গাঙ্গোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৫)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী শিল্প ও কৃষি।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ১০০, নাট্যদল ৫, যাত্রাপার্টি ৫, সিনেমা হল ৪।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৬.৭৬%, অকৃষি শ্রমিক ১.৯৭%, শিল্প ০.০৫%, ব্যবসা ৯.৩৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৫৫%, চাকরি ৩.৩৩%, নির্মাণ ০.৬৩%, ধর্মীয় সেবা ০.০৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.০৯% এবং অন্যান্য ৪.৭২%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৯.৮৮%, ভূমিহীন ৩০.১২%। শহরে ৫৯.২৯% এবং গ্রামে ৭১.১৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিল, পান, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি যব, কাউন, পাট, তিসি, মসুরি, ছোলা, খেসারি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কলা, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, পেঁপে, কুল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি ২০, গবাদিপশু ৪৫, হ্যাচারি ১১।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২০৩ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১০, কাঁচারাস্তা ৩৫৮ কিমি; রেলপথ ৮ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা বরফকল ১৫, ওয়েল্ডিং কারখানা ২০, হিমাগার ৪।
কুটিরশিল্প লৌহশিল্প ৮০, মৃৎশিল্প ১৪০, তাঁতশিল্প ১৫, বাঁশের কাজ ২৩০, বেতের কাজ ৭৬।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩০, মেলা ৫। তাহিরপুর হাট, ভবানীগঞ্জ হাট, মোহনগঞ্জ হাট, মাদারীগঞ্জ হাট, মচমইল হাট, গাঙ্গোপাড়া হাট, বড়হাট, হামিরকুৎসা হাট, একডালা হাট, নরদাশ হাট, দামনাশ হাট, শিকদারী হাট এবং ঢেঁকলতলা মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পান, কলা, পেঁপে, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪১.৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯১.৪%, ট্যাপ ৩.০% এবং অন্যান্য ৫.৬%। এ উপজেলায় অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলায় ৫৭.১% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৬.০% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৬.৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১০, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ। [মো. আসাদুল ইসলাম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বাগমারা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।