ওয়াহিদুজ্জামান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ (Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্যম হুসায়ন খান]") |
||
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:Wahiduzzaman.jpg|thumb|right|ওয়াহিদুজ্জামান]] | [[Image:Wahiduzzaman.jpg|thumb|right|ওয়াহিদুজ্জামান]] | ||
'''ওয়াহিদুজ্জামান''' (১৯১২-১৯৭৬) রাজনীতিক। গোপালগঞ্জ জেলার সীতারামপুর গ্রামে ১৯১২ সালে তাঁর জন্ম। ডাক নাম ঠান্ডা মিয়া। ওয়াহিদুজ্জামান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৩২ সালে | '''ওয়াহিদুজ্জামান''' (১৯১২-১৯৭৬) রাজনীতিক। গোপালগঞ্জ জেলার সীতারামপুর গ্রামে ১৯১২ সালে তাঁর জন্ম। ডাক নাম ঠান্ডা মিয়া। ওয়াহিদুজ্জামান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৩২ সালে বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৫ সালে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়নের আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন। | ||
কর্মজীবনের শুরুতেই ওয়াহিদুজ্জামান মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের কাউন্সিলর এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৪২ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। | কর্মজীবনের শুরুতেই ওয়াহিদুজ্জামান মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের কাউন্সিলর এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৪২ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। | ||
১১ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
রাজনীতির বাইরে ওয়াহিদুজ্জামান কতিপয় সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বেঙ্গল কোঅপারেটিভ অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি (১৯৩৮-১৯৪৫), কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর (১৯৪০-১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তান কোঅপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য (১৯৪৮-১৯৫০)। তিনি ঢাকায় প্রতিষ্ঠান করেন স্বীয় মালিকানাধীন জামান ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন। | রাজনীতির বাইরে ওয়াহিদুজ্জামান কতিপয় সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বেঙ্গল কোঅপারেটিভ অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি (১৯৩৮-১৯৪৫), কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর (১৯৪০-১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তান কোঅপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য (১৯৪৮-১৯৫০)। তিনি ঢাকায় প্রতিষ্ঠান করেন স্বীয় মালিকানাধীন জামান ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন। | ||
ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী সংগঠন শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা। ১৯৭৬ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। [ | ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী সংগঠন শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা। ১৯৭৬ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান] | ||
[[en:Wahiduzzaman]] | [[en:Wahiduzzaman]] |
১৬:৩০, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ওয়াহিদুজ্জামান (১৯১২-১৯৭৬) রাজনীতিক। গোপালগঞ্জ জেলার সীতারামপুর গ্রামে ১৯১২ সালে তাঁর জন্ম। ডাক নাম ঠান্ডা মিয়া। ওয়াহিদুজ্জামান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৩২ সালে বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৫ সালে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়নের আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন।
কর্মজীবনের শুরুতেই ওয়াহিদুজ্জামান মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের কাউন্সিলর এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৪২ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ওয়াহিদুজ্জামান রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি দ্বিধা বিভক্ত কনভেনশন মুসলিম লীগের (১৯৬৯) কাইউম গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬২ সালে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় ফরিদপুর-৩ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছর জুন মাসে তিনি আইউব সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় ফরিদপুর থেকে পুনরায় তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
রাজনীতির বাইরে ওয়াহিদুজ্জামান কতিপয় সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বেঙ্গল কোঅপারেটিভ অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি (১৯৩৮-১৯৪৫), কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর (১৯৪০-১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তান কোঅপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য (১৯৪৮-১৯৫০)। তিনি ঢাকায় প্রতিষ্ঠান করেন স্বীয় মালিকানাধীন জামান ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন।
ওয়াহিদুজ্জামান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী সংগঠন শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা। ১৯৭৬ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]