মোল্লা, আহসান উল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "সোহ্রাওয়ার্দী" to "সোহ্‌রাওয়ার্দী")
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''মোল্লা, আহসান উল্লাহ '''(১৮৭৬-১৯৩৯)  জমিদার, সমাজসেবক ও রাজনীতিক। নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার জাত আমরুল গ্রামে ১৮৭৬ সালে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা হাজী আমান উল্লাহ মোল্লা এবং মাতা ফিরমন নেসা। আহসান উল্লাহ তাঁর মাতামহের জমিদারির উত্তরাধিকারী হন। এ ছাড়াও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। অবিভক্ত বাংলা ও আসামে মোট বাইশটি স্থানে তাঁর পাট ও লবণ ব্যবসা ছিল। মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ, পুকুর খনন, দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য দান প্রভৃতি জনহিতকর কাজের জন্য তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
'''মোল্লা, আহসান উল্লাহ '''(১৮৭৬-১৯৩৯)  জমিদার, সমাজসেবক ও রাজনীতিক। নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার জাত আমরুল গ্রামে ১৮৭৬ সালে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা হাজী আমান উল্লাহ মোল্লা এবং মাতা ফিরমন নেসা। আহসান উল্লাহ তাঁর মাতামহের জমিদারির উত্তরাধিকারী হন। এ ছাড়াও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। অবিভক্ত বাংলা ও আসামে মোট বাইশটি স্থানে তাঁর পাট ও লবণ ব্যবসা ছিল। মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ, পুকুর খনন, দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য দান প্রভৃতি জনহিতকর কাজের জন্য তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।


আহসান উল্লাহ মোল্লা অবিভক্ত বাংলার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তিনি মহাত্মা গান্ধী, শেরে বাংলা  [[হক, এ.কে ফজলুল|এ]][[হক, এ.কে ফজলুল|.কে ফজলুল হক]],  [[সোহ্রাওয়ার্দী, হোসেন শহীদ|হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী]], শরৎ বসু প্রমুখের সান্নিধ্যে আসেন।
আহসান উল্লাহ মোল্লা অবিভক্ত বাংলার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তিনি মহাত্মা গান্ধী, শেরে বাংলা  [[হক, এ.কে ফজলুল|এ]][[হক, এ.কে ফজলুল|.কে ফজলুল হক]],  [[সোহ্‌রাওয়ার্দী, হোসেন শহীদ|হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী]], শরৎ বসু প্রমুখের সান্নিধ্যে আসেন।


১৯৩৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নামানুসারে আত্রাইয়ে স্থাপিত হয় আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। তাঁর নামে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনের নামকরণ হয় আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন।  [মাযহারুল ইসলাম তরু]
১৯৩৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নামানুসারে আত্রাইয়ে স্থাপিত হয় আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। তাঁর নামে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনের নামকরণ হয় আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন।  [মাযহারুল ইসলাম তরু]

১৬:০০, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মোল্লা, আহসান উল্লাহ (১৮৭৬-১৯৩৯)  জমিদার, সমাজসেবক ও রাজনীতিক। নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার জাত আমরুল গ্রামে ১৮৭৬ সালে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা হাজী আমান উল্লাহ মোল্লা এবং মাতা ফিরমন নেসা। আহসান উল্লাহ তাঁর মাতামহের জমিদারির উত্তরাধিকারী হন। এ ছাড়াও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। অবিভক্ত বাংলা ও আসামে মোট বাইশটি স্থানে তাঁর পাট ও লবণ ব্যবসা ছিল। মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ, পুকুর খনন, দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য দান প্রভৃতি জনহিতকর কাজের জন্য তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

আহসান উল্লাহ মোল্লা অবিভক্ত বাংলার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তিনি মহাত্মা গান্ধী, শেরে বাংলা  .কে ফজলুল হকহোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী, শরৎ বসু প্রমুখের সান্নিধ্যে আসেন।

১৯৩৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নামানুসারে আত্রাইয়ে স্থাপিত হয় আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। তাঁর নামে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনের নামকরণ হয় আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন।  [মাযহারুল ইসলাম তরু]