সালাম, আবদুস১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''সালাম, আবদুস১ '''(১৯১০-১৯৭৭) সাংবাদিক, ঢাকার ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার প্রথম সম্পাদক। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ পত্রিকার নামকরণ হয় বাংলাদেশ অবজার্ভার। আবদুস সালাম ১৯১০ সালে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৬ সালে ফেনী হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯২৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ অনার্স (১৯৩১) এবং এম.এ (১৯৩২) ডিগ্রি লাভ করেন। | [[Image:Salam,Abdul(1910-1977).jpg|thumb|200px|আবদুস সালাম]] | ||
'''সালাম, আবদুস১''' (১৯১০-১৯৭৭) সাংবাদিক, ঢাকার ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার প্রথম সম্পাদক। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ পত্রিকার নামকরণ হয় বাংলাদেশ অবজার্ভার। আবদুস সালাম ১৯১০ সালে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৬ সালে ফেনী হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯২৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ অনার্স (১৯৩১) এবং এম.এ (১৯৩২) ডিগ্রি লাভ করেন। | |||
আবদুস সালামের কর্মজীবন শুরু হয় ফেনী কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে। পরবর্তীকালে অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রথমে তিনি আয়কর বিভাগে এবং পরে সিভিল সাপাইজ বিভাগ এবং হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগে চাকুরি করেন। ১৯৪৯ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। একই বছর তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন। | আবদুস সালামের কর্মজীবন শুরু হয় ফেনী কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে। পরবর্তীকালে অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রথমে তিনি আয়কর বিভাগে এবং পরে সিভিল সাপাইজ বিভাগ এবং হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগে চাকুরি করেন। ১৯৪৯ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। একই বছর তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন। | ||
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবজার্ভার পত্রিকায় তীক্ষ্ণ ও জোরালো সরকার বিরোধী সম্পাদকীয় প্রকাশ করলে সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে। তিনি ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফেনী উত্তর আসন থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট সরকার অবজার্ভার পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দিলে তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক পদে ফিরে যান। | ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবজার্ভার পত্রিকায় তীক্ষ্ণ ও জোরালো সরকার বিরোধী সম্পাদকীয় প্রকাশ করলে সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে। তিনি ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফেনী উত্তর আসন থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট সরকার অবজার্ভার পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দিলে তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক পদে ফিরে যান। | ||
আবদুস সালাম ১৯৬৩-৬৪ সালে পাকিস্তান সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি আইয়ুব সরকারের প্রেস ও পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট বাতিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৬ সালে তাঁকে ‘একুশে পদক’- এ ভূষিত করা হয়। | আবদুস সালাম ১৯৬৩-৬৪ সালে পাকিস্তান সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি আইয়ুব সরকারের প্রেস ও পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট বাতিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৬ সালে তাঁকে ‘একুশে পদক’- এ ভূষিত করা হয়। |
০৪:২২, ২২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সালাম, আবদুস১ (১৯১০-১৯৭৭) সাংবাদিক, ঢাকার ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার প্রথম সম্পাদক। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ পত্রিকার নামকরণ হয় বাংলাদেশ অবজার্ভার। আবদুস সালাম ১৯১০ সালে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৬ সালে ফেনী হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯২৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ অনার্স (১৯৩১) এবং এম.এ (১৯৩২) ডিগ্রি লাভ করেন।
আবদুস সালামের কর্মজীবন শুরু হয় ফেনী কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে। পরবর্তীকালে অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রথমে তিনি আয়কর বিভাগে এবং পরে সিভিল সাপাইজ বিভাগ এবং হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগে চাকুরি করেন। ১৯৪৯ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। একই বছর তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবজার্ভার পত্রিকায় তীক্ষ্ণ ও জোরালো সরকার বিরোধী সম্পাদকীয় প্রকাশ করলে সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে। তিনি ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফেনী উত্তর আসন থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট সরকার অবজার্ভার পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দিলে তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক পদে ফিরে যান।
আবদুস সালাম ১৯৬৩-৬৪ সালে পাকিস্তান সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি আইয়ুব সরকারের প্রেস ও পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট বাতিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৬ সালে তাঁকে ‘একুশে পদক’- এ ভূষিত করা হয়।
আবদুস সালাম ১৯৭৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। [শামসুজ্জামান]