বসু, বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:BoseSatyendraNath.jpg|thumb|right|400px|সত্যেন্দ্রনাথ বসু]]
'''বসু, বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ ''' (১৮৯৪-১৯৭৪)  বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের উদ্ভাবক, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃৎ। জন্ম, কলকাতা, ১ জানুয়ারি ১৮৯৪। কলকাতা হিন্দু স্কুল থেকে সত্যেন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে পঞ্চম স্থানসহ এন্ট্রান্স এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১১ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষা পাস করেন। একই কলেজ থেকে ১৯১৩ সালে তিনি গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯১৫ সালে মিশ্র গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
'''বসু, বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ ''' (১৮৯৪-১৯৭৪)  বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের উদ্ভাবক, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃৎ। জন্ম, কলকাতা, ১ জানুয়ারি ১৮৯৪। কলকাতা হিন্দু স্কুল থেকে সত্যেন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে পঞ্চম স্থানসহ এন্ট্রান্স এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১১ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষা পাস করেন। একই কলেজ থেকে ১৯১৩ সালে তিনি গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯১৫ সালে মিশ্র গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।


নবপ্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯১৫ সাল থেকে ড. মেঘনাদ সাহার সাহচর্যে মিশ্র গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। ১৯২১ সালে  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিডার হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধানের পদ অলংকৃত করেন। দীর্ঘকাল ধরে বিভাগটি গড়ে তুলতে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যান। সত্যেন্দ্রনাথ এখানে ২৪ বছর একনিষ্ঠভাবে গবেষণাকর্ম সম্পাদন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সত্যেন্দ্রনাথ বসু তাঁর তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর গবেষণাকর্মের সূচনা করেন, যা পরবর্তীতে তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ১৯২৪ সালে তাঁর ‘প্ল্যাঙ্কস্ ল অ্যান্ড দি লাইট কোয়ান্টাম হাইপথেসিস’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, যেটি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পাঠ করে চমৎকৃত হন। আইনস্টাইন সত্যেন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ ও ব্যাখ্যাসহ বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশ করেন। প্রকাশিত প্রবন্ধটি বিজ্ঞান জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং ‘বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব’ নামে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়।
নবপ্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯১৫ সাল থেকে ড. মেঘনাদ সাহার সাহচর্যে মিশ্র গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। ১৯২১ সালে  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিডার হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধানের পদ অলংকৃত করেন। দীর্ঘকাল ধরে বিভাগটি গড়ে তুলতে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যান। সত্যেন্দ্রনাথ এখানে ২৪ বছর একনিষ্ঠভাবে গবেষণাকর্ম সম্পাদন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সত্যেন্দ্রনাথ বসু তাঁর তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর গবেষণাকর্মের সূচনা করেন, যা পরবর্তীতে তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ১৯২৪ সালে তাঁর ‘প্ল্যাঙ্কস্ ল অ্যান্ড দি লাইট কোয়ান্টাম হাইপথেসিস’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, যেটি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পাঠ করে চমৎকৃত হন। আইনস্টাইন সত্যেন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ ও ব্যাখ্যাসহ বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশ করেন। প্রকাশিত প্রবন্ধটি বিজ্ঞান জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং ‘বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব’ নামে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়।
[[Image:BoseSatyendraNath.jpg|thumb|right|সত্যেন্দ্রনাথ বসু]]


তাঁর নামানুসারে পরমাণুর এক ধরনের কণিকার নাম রাখা হয়েছে ‘বোসন কণা’। আপেক্ষিক তত্ত্বের কতগুলো জটিল গাণিতিক সমীকরণের পূর্ণ সমাধান করে বিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি আরও একটি কীর্তি স্থাপন করেন। ১৯২৯ সালে অধ্যাপক বসু ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থবিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ সালে মূল সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত খয়রা অধ্যাপক পদে এবং কয়েক বছর স্নাতকোত্তর বিজ্ঞান বিভাগের ডীন পদে দায়িত্ব পালন করার পর অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৫৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘এমিরিটাস প্রফেসর’ পদে নির্বাচিত হন। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত করে।
তাঁর নামানুসারে পরমাণুর এক ধরনের কণিকার নাম রাখা হয়েছে ‘বোসন কণা’। আপেক্ষিক তত্ত্বের কতগুলো জটিল গাণিতিক সমীকরণের পূর্ণ সমাধান করে বিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি আরও একটি কীর্তি স্থাপন করেন। ১৯২৯ সালে অধ্যাপক বসু ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থবিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ সালে মূল সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত খয়রা অধ্যাপক পদে এবং কয়েক বছর স্নাতকোত্তর বিজ্ঞান বিভাগের ডীন পদে দায়িত্ব পালন করার পর অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৫৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘এমিরিটাস প্রফেসর’ পদে নির্বাচিত হন। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত করে।


বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৫৮ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে কিছুকাল পর্যন্ত  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ব্যাপারে অধ্যাপক বসু অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ লক্ষ্যে তিনি কলকাতায় ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ পরিষদের মুখপত্ররূপে মাসিক ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিজ্ঞানীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘দেশিকোত্তম’ এবং ভারত সরকার ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে। সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৫৮ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে কিছুকাল পর্যন্ত  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ব্যাপারে অধ্যাপক বসু অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ লক্ষ্যে তিনি কলকাতায় ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ পরিষদের মুখপত্ররূপে মাসিক ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিজ্ঞানীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘দেশিকোত্তম’ এবং ভারত সরকার ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে। সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। [মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]
 
[মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]
 
[[en:Bose, Satyendra Nath]]
 
[[en:Bose, Satyendra Nath]]
 
[[en:Bose, Satyendra Nath]]


[[en:Bose, Satyendra Nath]]


[[en:Bose, Satyendra Nath]]
[[en:Bose, Satyendra Nath]]

০৭:৪৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সত্যেন্দ্রনাথ বসু

বসু, বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ  (১৮৯৪-১৯৭৪)  বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের উদ্ভাবক, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃৎ। জন্ম, কলকাতা, ১ জানুয়ারি ১৮৯৪। কলকাতা হিন্দু স্কুল থেকে সত্যেন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে পঞ্চম স্থানসহ এন্ট্রান্স এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১১ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষা পাস করেন। একই কলেজ থেকে ১৯১৩ সালে তিনি গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯১৫ সালে মিশ্র গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।

নবপ্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯১৫ সাল থেকে ড. মেঘনাদ সাহার সাহচর্যে মিশ্র গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। ১৯২১ সালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিডার হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধানের পদ অলংকৃত করেন। দীর্ঘকাল ধরে বিভাগটি গড়ে তুলতে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যান। সত্যেন্দ্রনাথ এখানে ২৪ বছর একনিষ্ঠভাবে গবেষণাকর্ম সম্পাদন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সত্যেন্দ্রনাথ বসু তাঁর তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর গবেষণাকর্মের সূচনা করেন, যা পরবর্তীতে তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ১৯২৪ সালে তাঁর ‘প্ল্যাঙ্কস্ ল অ্যান্ড দি লাইট কোয়ান্টাম হাইপথেসিস’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, যেটি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পাঠ করে চমৎকৃত হন। আইনস্টাইন সত্যেন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ ও ব্যাখ্যাসহ বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশ করেন। প্রকাশিত প্রবন্ধটি বিজ্ঞান জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং ‘বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব’ নামে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়।

তাঁর নামানুসারে পরমাণুর এক ধরনের কণিকার নাম রাখা হয়েছে ‘বোসন কণা’। আপেক্ষিক তত্ত্বের কতগুলো জটিল গাণিতিক সমীকরণের পূর্ণ সমাধান করে বিজ্ঞানের ইতিহাসে তিনি আরও একটি কীর্তি স্থাপন করেন। ১৯২৯ সালে অধ্যাপক বসু ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থবিজ্ঞান শাখার সভাপতি এবং ১৯৪৪ সালে মূল সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত খয়রা অধ্যাপক পদে এবং কয়েক বছর স্নাতকোত্তর বিজ্ঞান বিভাগের ডীন পদে দায়িত্ব পালন করার পর অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৫৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘এমিরিটাস প্রফেসর’ পদে নির্বাচিত হন। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত করে।

বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৫৮ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে কিছুকাল পর্যন্ত  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ব্যাপারে অধ্যাপক বসু অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ লক্ষ্যে তিনি কলকাতায় ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ পরিষদের মুখপত্ররূপে মাসিক ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিজ্ঞানীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘দেশিকোত্তম’ এবং ভারত সরকার ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে। সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। [মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]