পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:EpiphytePlantBat.jpg|thumb|right|পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ, বট]]
[[Image:EpiphytePlantBat.jpg|thumb|right|পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ, বট]]
'''পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ '''(Epiphyte)  অন্য গাছের উপর বা মাটির উপরের কোন অবধারকের উপর জন্মানো মাটির সঙ্গে সরাসরি
'''পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ''' (Epiphyte)  অন্য গাছের উপর বা মাটির উপরের কোন অবধারকের উপর জন্মানো মাটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কহীন যে কোন উদ্ভিদ। পরাশ্রয়ীরা জীবন্ত আশ্রয় থেকে কোন খাদ্যবস্ত্ত শোষণ করে না। এদের পুষ্টি ও পানি যোগায় বৃষ্টি, বাতাস, ধুলাবালু ইত্যাদি। প্রাণহীন কাঠামো, যেমন ইটের দেয়াল বা তদ্রূপ কিছুর উপর জন্মানো উদ্ভিদকেও পরাশ্রয়ী বলা যায়। শৈবাল, লাইকেন, ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও সপুষ্পক উদ্ভিদসহ প্রায় সব বর্গের কিছু প্রতিনিধি পরাশ্রয়ী স্বভাব অর্জন করেছে। এদের মধ্যে ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও গুপ্তবীজীদেরই প্রাধান্য রয়েছে। গাছের কান্ড ও ডালপালাই মূলত এদের প্রধান আশ্রয় স্থান। বাংলাদেশে বহুদৃষ্ট পরাশ্রয়ী ফার্ন হলো Microsorium, Pyrrosia, Dryneria, Drymoglossum, Huperzia, এবং Palhaniana। অর্কিড প্রধান গুপ্তবীজী পরাশ্রয়ী। বাংলাদেশে এই জাতীয় অর্কিডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য Dendrobium, Aerides, Rhyncostylis, Vanda, এবং Cymbidium। এদের প্রায় ৫০টি প্রজাতি এদেশে আছে।


সম্পর্কহীন যে কোন উদ্ভিদ। পরাশ্রয়ীরা জীবন্ত আশ্রয় থেকে কোন খাদ্যবস্ত্ত শোষণ করে না। এদের পুষ্টি ও পানি যোগায় বৃষ্টি, বাতাস, ধুলাবালু ইত্যাদি। প্রাণহীন কাঠামো, যেমন ইটের দেয়াল বা তদ্রূপ কিছুর উপর জন্মানো উদ্ভিদকেও পরাশ্রয়ী বলা যায়। শৈবাল, লাইকেন, ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও সপুষ্পক উদ্ভিদসহ প্রায় সব বর্গের কিছু প্রতিনিধি পরাশ্রয়ী স্বভাব অর্জন করেছে। এদের মধ্যে ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও গুপ্তবীজীদেরই প্রাধান্য রয়েছে। গাছের কান্ড ও ডালপালাই মূলত এদের প্রধান আশ্রয় স্থান। বাংলাদেশে বহুদৃষ্ট পরাশ্রয়ী ফার্ন হলো Microsorium, Pyrrosia, Dryneria, Drymoglossum, Huperzia, এবং Palhaniana। অর্কিড প্রধান গুপ্তবীজী পরাশ্রয়ী। বাংলাদেশে এই জাতীয় অর্কিডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য Dendrobium, Aerides, Rhyncostylis, Vanda, এবং Cymbidium। এদের প্রায় ৫০টি প্রজাতি এদেশে আছে।
আকন্দ গোত্রীয় কিছু প্রজাতিও পরাশ্রয়ী। বাংলাদেশে সাধারণ অর্ধ-পরাশ্রয়ীর মধ্যে বট (''Ficus benghalensis''), অশ্বত্থ (''F. religiosa'') ও পাকুড় (''F. benjamina'' var. ''comosa'', ''F. lacor'') সহজে চোখে পড়ে। অনেক স্বল্পস্থায়ী পরাশ্রয়ী দেখা যায়     বর্ষা মৌসুমে।  [মোস্তফা কামাল পাশা]


আকন্দ গোত্রীয় কিছু প্রজাতিও পরাশ্রয়ী। বাংলাদেশে সাধারণ অর্ধ-পরাশ্রয়ীর মধ্যে বট (Ficus benghalensis), অশ্বত্থ (F. religiosa) ও পাকুড় (F. benjamina var. comosa, F. lacor) সহজে চোখে পড়ে। অনেক স্বল্পস্থায়ী পরাশ্রয়ী দেখা যায়     বর্ষা মৌসুমে।  [মোস্তফা কামাল পাশা]
[[en:Epiphyte]]
[[en:Epiphyte]]
[[en:Epiphyte]]


[[en:Epiphyte]]
[[en:Epiphyte]]

১০:৪৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ, বট

পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ (Epiphyte)  অন্য গাছের উপর বা মাটির উপরের কোন অবধারকের উপর জন্মানো মাটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কহীন যে কোন উদ্ভিদ। পরাশ্রয়ীরা জীবন্ত আশ্রয় থেকে কোন খাদ্যবস্ত্ত শোষণ করে না। এদের পুষ্টি ও পানি যোগায় বৃষ্টি, বাতাস, ধুলাবালু ইত্যাদি। প্রাণহীন কাঠামো, যেমন ইটের দেয়াল বা তদ্রূপ কিছুর উপর জন্মানো উদ্ভিদকেও পরাশ্রয়ী বলা যায়। শৈবাল, লাইকেন, ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও সপুষ্পক উদ্ভিদসহ প্রায় সব বর্গের কিছু প্রতিনিধি পরাশ্রয়ী স্বভাব অর্জন করেছে। এদের মধ্যে ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও গুপ্তবীজীদেরই প্রাধান্য রয়েছে। গাছের কান্ড ও ডালপালাই মূলত এদের প্রধান আশ্রয় স্থান। বাংলাদেশে বহুদৃষ্ট পরাশ্রয়ী ফার্ন হলো Microsorium, Pyrrosia, Dryneria, Drymoglossum, Huperzia, এবং Palhaniana। অর্কিড প্রধান গুপ্তবীজী পরাশ্রয়ী। বাংলাদেশে এই জাতীয় অর্কিডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য Dendrobium, Aerides, Rhyncostylis, Vanda, এবং Cymbidium। এদের প্রায় ৫০টি প্রজাতি এদেশে আছে।

আকন্দ গোত্রীয় কিছু প্রজাতিও পরাশ্রয়ী। বাংলাদেশে সাধারণ অর্ধ-পরাশ্রয়ীর মধ্যে বট (Ficus benghalensis), অশ্বত্থ (F. religiosa) ও পাকুড় (F. benjamina var. comosa, F. lacor) সহজে চোখে পড়ে। অনেক স্বল্পস্থায়ী পরাশ্রয়ী দেখা যায়     বর্ষা মৌসুমে।  [মোস্তফা কামাল পাশা]