পরমাণু চুল্লী

পরমাণু চুল্লী (Nuclear Reactor)  পারমাণবিক শক্তির নিয়ন্ত্রিত প্রকাশ ঘটানোর যন্ত্র। গবেষণা বা শক্তি উৎপাদনের জন্য পরমাণু চুল্লী ব্যবহূত হয়ে থাকে। ঢাকা জেলার সাভারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু চুল্লী স্থাপন করা হয়। এই চুল্লীর তাপীয় ক্ষমতা হলো ৩,০০০ কিলোওয়াট।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একটি স্বল্প ক্ষমতার পরমাণু চুল্লী স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়ে। তদনুসারে, ১৯৭৯ সালে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন (3MW TRIGA) একটি পারমাণবিক চুল্লী সরবরাহ ও স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল এটমিক কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরমাণু চুল্লী স্থাপন প্রকল্পে প্রায় ১৪ কোটি টাকা (১৯৮৩ সাল পর্যন্ত) ব্যয় হয়েছিল।

পরমাণু চুল্লীটি মূলত শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং আইসোটোপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহূত হয়ে থাকে। পরমাণু চুল্লী থেকে উৎপাদনকৃত তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপসমূহ প্রধানত বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্র ও হাসপাতালে রোগ নির্ণয় এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহূত হয়ে থাকে। শিল্প-কারখানায়ও আইসোটোপের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। শিল্পজাত পণ্যের রেডিওগ্রাফি, ওয়েল্ড ও কমপোনেন্টের অ-বিনাশক পরীক্ষা, শিল্পকারখানার নিওক্লিওনিক নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজে তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপ বহুলভাবে ব্যবহূত হয়ে থাকে।  [এ.কিউ.এম আবদুল আহাদ]

আরও দেখুন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প।