পতেঙ্গা থানা

পতেঙ্গা থানা ([[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম জেলা)  আয়তন: ২২.৩৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°১৩´ থেকে ২২°১৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৬´ থেকে ৯১°৫০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বন্দর থানা, দক্ষিণে আনোয়ারা, পূর্বে কর্ণফুলি থানা ও কর্ণফুলি নদী, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।

জনসংখ্যা ১৪০২২৩; পুরুষ ৭৪৩০৮, মহিলা ৬৫৯১। মুসলিম ১৩০৮২৭, হিন্দু ৭৪৭১, বৌদ্ধ ১০০, খ্রিস্টান ১৭৪৮ এবং অন্যান্য ৭৭।

জলাশয় বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলি নদী।

প্রশাসন ২০০০ সালের ২৭ মে চট্টগ্রাম বন্দর থানার অংশ নিয়ে পতেঙ্গা থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
২+১ (আংশিক) ১৪০২২৩ - ৬২৭৭ ৬১.৬৭ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড  নং ৩৯ (আংশিক) ৫.০৮ ৩০৫৫২ ২৯২২৩ ৬৬.৯৯
ওয়ার্ড  নং ৪০ ল৯.৩০ ২৬৪৮৭ ২১৭৪৩ ৬৪.৮০
ওয়ার্ড  নং ৪১ ১৭.২৬ ১৭২৬৯ ১৪৯৪৯ ৫৩.৬০

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ দায়েম নাজির মসজিদ (গায়েবি মসজিদ), নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাযার,  কালীবাড়ি মন্দির (কাঠগড়)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩, মন্দির ২, মাযার ৩।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬১.৬৭%; পুরুষ ৬৫.২০%, মহিলা ৫৪.৫০%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ, নেভাল একাডেমী, পতেঙ্গা হাইস্কুল, সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজ, স্টিল মিলস হাইস্কুল, ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাইস্কুল।

দর্শনীয় স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ নেভাল একাডেমী, সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাটি, চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫.৬৬%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৯২%, শিল্প ০.৭০%, ব্যবসা ১২.৪৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৪৬%, চাকরি ৪৫.১৭%, নির্মাণ ১.৩৭%, ধর্মীয় সেবা ০.২৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৯৫% এবং অন্যান্য ১৮.০৪%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৬.৬৬%, ভূমিহীন ৬৩.৩৪%।

শিল্প ও কলকারখানা চট্টগ্রাম ইপিজেড, ইস্টার্ন ক্যাবল, জিইএম প্লান্ট, ইস্টার্ন রিফাইনারি, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানির প্রধান ডিপো উল্লেখযোগ্য।

হাটবাজার ও শপিং কমপ্লেক্স  স্টিল মিল বাজার, কাঠগড় বাজার, খলিফা’র হাট, মুসলিমাবাদ জেলেপাড়া মাছের আড়ত, নিজাম মার্কেট উল্লেখযোগ্য।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি মহল্লা বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৮৪.৪০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৭৭.০৪%, পুকুর ০.৭৩%, ট্যাপ ২০.০৬% এবং অন্যান্য ২.১৭%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৮২.৭৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৪.৬৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২.৬২% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র পদ্মা অয়েল কোম্পানি হসপিটাল।

এনজিও ওয়ার্ল্ড  ভিশন, ব্র্যাক, আশা। [মোঃ আবদুল বাতেন]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।