নট্রামস

নট্রামস (National Training and Research Academy for Multilingual Shorthand/NTRAMS)  ১৯৮২ সালে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি বগুড়ার ফুলতলাতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৯৯২ সালে সরকার প্রতিষ্ঠানটি কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য ‘নট্রামস কোড’ তৈরি করে।

নট্রামস সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কম্পিউটার ট্রেনিংসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অফিস ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। একাডেমির প্রধান কোর্সের মধ্যে রয়েছে ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স এবং সার্টিফিকেট (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা)। প্রাথমিকভাবে এ একাডেমিটি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান সরকার কর্তৃক ইংরেজি, বাংলা এবং আরবি ভাষার জন্য বহুভাষী শাটলিপিকা প্রবর্তনের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি এখন ব্যাপকভাবে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বহুভাষী লিপিকা প্রসারের জন্য আঞ্চলিক ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রেশন প্রদানের এবং এর উন্নতিকল্পে কার্যকর গবেষণা পরিচালনা করার ক্ষমতা এ একাডেমির ওপর অর্পিত রয়েছে।

এ একাডেমিটি একজন পরিচালক কর্তৃক পরিচালিত হয় যিনি সরকারের যুগ্ম-সচিবের সমান পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন নির্বাহী। বিভিন্ন বিষয়ে যোগ্য এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ দ্বারা নট্রামস-এর অনুষদ গঠিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব কর্তৃক পরিচালিত ১৪ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ একাডেমির কার্যক্রমে সর্বপ্রকার নীতিনির্দেশনা প্রদান করে থাকে।

এ একাডেমি ৩০০ কম্পিউটারের একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে এ কম্পিউটারগুলি প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং প্রশাসনিক কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। ১৯৮৯ সালের জুলাই থেকে একাডেমি প্রায় ১৬০০ অংশগ্রহণকারীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। নট্রামস বই, গাইড, গবেষণা প্রতিবেদন, কেস স্টাডিজ এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ ইত্যাদির প্রকাশনার কাজ করে থাকে। এটি এ পর্যন্ত ৪০টি বই প্রকাশ করেছে। এ একাডেমি প্রশাসক, প্রশিক্ষক, নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং ব্যবস্থাপকদের পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনা এবং মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার এবং ওয়ার্কশপের ব্যবস্থাও করে থাকে। এখন এখানে বছরে প্রায় ২৫টি কোর্সে প্রায় ১৬০০ প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। [মোঃ মনসুর রহমান]