চ্যালকোপাইরাইট

চ্যালকোপাইরাইট (Chalcopyrite)  তামার আকরিক; চতুষ্কৌণিক স্ফটিক পদ্ধতিতে কেলাসিত হয়, কিন্তু এ স্ফটিক সাধারণত ক্ষুদ্র ডাইফিনোইডাল ফেস সমৃদ্ধ অর্থাৎ চার বাহু (tetrahedron) সদৃশ। সাধারণত সংহত, ধাতবীয় ঔজ্জ্বল্য বিশিষ্ট ও পিতল বা সোনালি হলুদ বর্ণযুক্ত; তবে চূর্ণিত মণিক  সবুজাভ-কালো (streak), অসমান চিড় (fracture) সম্পন্ন ও অস্পষ্ট সমান্তরাল ফাটল (cleavage) আছে।  Moh-এর স্কেলে এর কাঠিন্য (hardness) ৩.৫-৪ ও আপেক্ষিক গুরুত্ব ৪.১-৪.৩। তাম্র পাইরাইট বা হলুদ পাইরাইট নামেও এটি পরিচিত। হাইড্রোথার্মাল পরিবেশে (ভূগর্ভের ২০০°-৩০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা)  অথবা হাইপোথার্মাল পরিবেশে (ভূগর্ভের ৩০০°-৫০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা) এটি পাওয়া যায়।

রাজমহল শিলাসোপানের ঊর্ধ্বাংশের ব্যাপক আবহিক বিকার ঘটেছে এবং এখানকার শিলাসমূহে চ্যালকোপাইরাইট ও চ্যালকোসাইটের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অবশ্য অন্যান্য কঠিন খনিজ পদার্থের তুলনায় এর কাঠিন্য কম হওয়ায় চ্যালকোপাইরাইট খুব সুস্থিত নয়। আর এ কারণেই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সুরমা অববাহিকা এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন উল্লম্ব ছেদের ভারি খনিজ ভান্ডারে (heavy mineral suite) একে পাওয়া যায় না বললেই চলে।  [সিফাতুল কাদের চৌধুরী]