কাক

কাক (Crow)  Passeriformes বর্গের Corvidae গোত্রের তুলনামূলকভাবে বড় আকারের অতি পরিচিত  পাখি। দেহ চকচকে কালো রঙের এবং অধিকাংশেরই শক্তিশালী কালো ঠোঁটের গোড়া পালকে ঢাকা। কাক সর্বভুক। প্রকৃত কাকেরা Corvus গণভুক্ত, যারা সাধারণত কালো রঙের এবং পৃথিবীর সর্বত্র বিস্তৃত।

কাক অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও চতুর পাখি। এরা যূথচর, মাঝে মধ্যে খুব বড় দলেও থাকে, কিন্তু একত্রে ঘুমায় না। প্রত্যেক জোড়ার পৃথক বাসা থাকে। বাসা খুব সাধারণ, ডালপালার একটি মাচান। স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ই বাসা তৈরি করে, বাচ্চাদের খাওয়ায়। গাঢ় দাগসহ হালকা সবুজ বা জলপাই রঙের ৫-৬টি ডিম পাড়ে। পালাক্রমে দুজনই ডিমে তা দেয়। কোকিলরা বাসা বানায় না, প্রায়শ কাকের ডিম ফেলে দিয়ে ওদের বাসায় ডিম পাড়ে। পৃথিবীতে কাকের (Corvus গণের) প্রজাতি সংখ্যা ৪৩, তন্মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ২টি (সারণি)। একমাত্র দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়া কাকদের প্রজাতি প্রত্যেক মহাদেশেই আছে।

সারণি  বাংলাদেশের কাক (Aves, Passeriformes: Corvidae)

বৈজ্ঞানিক নাম ইংরেজি নাম ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা স্থানীয় নাম বিস্তার
Corvus macrorhynchos Jungle Crow: চকচকে কালো রং, চিলের চেয়ে আকারে ছোট। ঠোঁট পুরু। কা কা ডাক গাঢ়, কর্কশ ও ফ্যাঁসফ্যাঁসে। একাকী, জোড়ায় বা কয়েকটি কাছাকাছি থাকে। গ্রামাঞ্চলের পাখি, তবে শহরেও অল্পস্বল্প দেখা যায়। বড় বড় জন্তুর ধরা শিকারগুলি দ্রুত খুঁজে বের করে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারেও আছে। মার্চ-মে প্রজননকাল। দাঁড়কাক সর্বত্র
Corvus splendens House crow: ছোট আকৃতি ও ধূসর গলার জন্য সহজেই দাঁড়কাক থেকে আলাদা করা যায়। জনবসতির কাছে, গ্রাম ও শহরের সর্বত্র দেখা যায়। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারেও আছে। পাতিকাক সর্বত্র

[মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম]

আরও দেখুন কোকিল