কসবা

কসবা  সুলতানি আমলের উপবিভাগীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র। প্রশাসনিক উপবিভাগগুলির মধ্যে ইকলিম,  ইকতা,  মুকতা, ইরতা, যোয়ার ও কসবা নামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৭টি কসবার সন্ধান পাওয়া গেছে। কসবাগুলির অধিকাংশই বর্তমান জেলা শহরের মধ্যে বা অদূরে অবস্থিত ছিল। একটি কসবার অবস্থান থেকে অন্যটির দূরত্বও একটি লক্ষণীয় বিষয়। এ সব কসবার নামের সঙ্গে অনেক রাজকীয় আমলার পদবির সংযুক্তি লক্ষ করা যায়, যেমন- কাজীর কসবা, কোতোয়ালের কসবা, শহর কসবা, নগর কসবা ইত্যাদি। কসবাগুলির অবস্থান, একটির সঙ্গে অপরটির দূরত্ব, রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রাদেশিক রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নামের সঙ্গে যুক্ত রাজকীয় পদবি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে কসবাকে সুলতানি আমলের একটি উপ-বিভাগীয় প্রশাসন কেন্দ্র বলা যেতে পারে। সুলতানি আমলের ‘কসবা’কে জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কসবার দায়িত্বে ছিলেন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন কাজী ও একজন কোতোয়াল। মুগল আমলে অধিকাংশ কসবাই পূর্বের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে।

বর্তমানে বাংরাদেশের জেণাসমূহে যে কয়টি কসবার নাম পাওয়া যায় তার নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

মুন্সিগঞ্জ জেলার কাজীর কসবা ও নগর কসবা, টাঙ্গাইল জেলার কসবা আটিয়া, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা, লক্ষ্মীপুর জেলার শহর কসবা, বৃহত্তর রংপুরের কসবা নূরপুর, দিনাজপুরের কসবা সাগরপুর, খুলনার পয়গ্রাম কসবা, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চোয়ারা কসবা, আমরুল কসবা, কিসমত কসবা ও কসবা মান্দা এবং গৌরনদী উপজলার বড় কসবা ও লাখেরাজ কসবা। [আহমেদ আমিন চৌধুরী]